কালজয়ী, সার্বজনীন গৃহীত তিনটি হাদিস গ্রন্থ, সকল খন্ড একত্রে সম্পূর্ণ বাংলায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে পাঠকদের দ্বারপ্রান্তে ইতিহাসের সবচেয়ে কম হাদিয়ায়!!
বাড পাবলিকেশনের সম্পূর্ণ বুখারি শরীফ একত্রে। ১০টি খণ্ডের আপনি পাবেন বাংলা অনুবাদ। যার দরুন কিতাবটি সবার জন্য বোধগম্য হবে। সেই সাথে বড় বড় অক্ষর এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটির কাগজ দিয়ে ছাপা কিতাবটি আপনার ইসলামিক কিতাব সংগ্রহকে করবে পরিপূর্ণ।
Title: সহীহ বুখারী শরীফ (বাংলা) সকল খন্ড একত্রে
Author: Muhammad ibn Isma'il al-Bukhari
Translator:Shaykh Ul Hadith Allamah Azizul Haque
Editor: Habibullah Dhali
Publisher: Bud Comprint
Number of Pages:1064
Dimension: 10.5*8
Language: Bangla
তিরমিযী শরীফ বঙ্গানুবাদ প্রসঙ্গ
সিহাহ্ সিত্তাহ্ভুক্ত ছয়টি হাদীস গ্রন্থের মধ্যে তিরমিযী শরীফ অন্যতম ৷ তিরমিযী শরীফের সংকলক হযরত হাফিজ আবূ 'ঈসা মুহাম্মদ ইবন 'ঈসা ইবন সাওরা ইবন শাদ্দাদ আত-তিরমিযী (র.) কঠোর পরিশ্রম ও সুক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামি'য়াত্-রিতমিযী বা তিরমিযী শরীফে অন্তর্ভুক্ত হাদীসগুলো সংকলন করেন ৷
এতে মোট ৩৮১২ খানা হাদীস সংকলিত হয়েছে ৷ তার মধ্যে পুনরুক্ত হাদিসের সংখ্যা মাত্র ৮৩ টি ৷
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত শাহ্ আব্দুল আযীয দেহলভী (র.) তিরমিযী শরীফ সম্পর্কে বলেন, “এই হাদীস গ্রন্থ সুসজ্জিত এবং এতে হাদীসগুলো অত্যন্ত সুবিন্যস্তভাবে সংকলিত হয়েছে এবং পুনরুক্ত হাদীসের সংখ্যা এতে খুবই কম ৷ ” তিরমিযী শরীফের বৈশিষ্ট্য এই যে, এতে ফকীহ্গণের মতামত তুলে ধরা ছাড়াও, বিভিন্ন মাযহাবের দলীল-প্রমাণ সমূহের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ রয়েছে ৷
তিরমিযী শরীফের আর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে হাদীসের প্রকারভেদ অর্থাৎ 'সহীহ্', 'হাসান', 'যঈফ', 'গরীব', 'মু'আল্লাল' প্রভৃতি যথাস্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ রাবীদের (বর্ণনাকারীর) নাম, উপনাম, উপাধি ইত্যাদি মূল্যবান তথ্য এবং হাদিস জ্ঞান লাভের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় বিষয় পূর্ণাঙ্গরূপে উপস্থাপিত হয়েছে ৷
Title: Sahih Al- Tirmidhi in Bengali
Author:compiled by Islamic scholar al-Tirmidhi in c. 864–884 (250–270 AH)
Translator: Mawlana Mohammad Abdus Salam
Editor:
Maulana Muhammad Hasan Rahmati
Publisher: Bud Comprint
Published: 6th Edition 2023
Number of pages: 1120
Dimension: 9.5*7.6
নাম: Shahih Muslim Sharif – সহীহ মুসলিম শরীফ (সকল খন্ড একত্রে)
সংক্ষিপ্ত বিবরণ: সহীহ মুসলিম শরীফ এর সকল খন্ড একত্রে এক কিতাবে লিপিবদ্ধ, শুধুমাত্র বাংলা অনুবাদ
কাগজের ধরণঃ সাদা
পৃষ্ঠা নম্বরঃ ১,০৮০
মূলঃ ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র)
অনুবাদঃ মুহাম্মদ আবদুস সালাম
সম্পাদনাঃ মাওলানা মুহাম্মাদ হাসান রহমতী
প্রকাশনাঃ মীনা বুক হাউজ
Muslim Sharif সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস বিষয়ক একটি সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এটি কুতুব আল-সিত্তাহ অর্থাৎ হাদীস বিষয়ক প্রধান ছয়টি গ্রন্থের দ্বিতীয় গ্রন্থ। সিহাহ্ সিত্তাহর বা বিশুদ্ধ ৬টি গ্রন্থের মধ্যে বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ সবচেয়ে বিশুদ্ধ যার ১টি হাদিস ও কেউ প্রমান করতে পারে নাই যেটি আল কুরআনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। ইমাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ ইবনে মুসলিম আল কুশাইরী হলেন এই মহান গ্রন্থের সংকলক। তার অন্যান্য সংকলনের মধ্যে সহীহ মুসলিম হলো সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য।
মুসলিম হাদীস বিশারদদের সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোরআন মাজিদের পর পৃথিবীর বুকে বিশুদ্ধতম দ্বিতীয় গ্রন্থ হলো ‘সহীহ মুসলিম’। শক্তিশালী পরিকল্পনার পাশাপাশি অত্যন্ত যত্নের সাথে গুছিয়ে ইমাম মুসলিম তৈরি করেছেন সংকলনটি। উক্ত কর্মটি সম্পন্ন করতে তার সময় লেগেছে প্রায় ১৫ বছর। এই গ্রন্থ সংকলনে তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সযত্ন সুন্দর বিন্যাসকে বিবেচনা করে তার যুগের পশ্চিমা বহু মুহাদ্দিস সহীহ মুসলিমকে সহীহ বুখারী’র উপর প্রাধান্য দিয়ে তাকে ‘শ্রেষ্ঠ হাদীস গ্রন্থ’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এতে প্রায় ১২ হাজার হাদীস রয়েছে (পুনরুক্তসহ)। পুনরুক্ত বাদ দিলে হাদীসের সংখ্যা হবে প্রায় ৪০০০।’ ইমাম মুসলিম তার মুখস্ত তিন লক্ষাধিক হাদীস থেকে বাছাই করে বিশুদ্ধ হাদীসের এ সংকলনটি তৈরি করেছেন।
সহীহ্ মুসলিম শরীফ (সকল খণ্ড একত্রে) (হার্ডকভার) চমৎকার মানের এবং পর্যালোচনা ও পড়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ উপস্থাপন করা হয়। সহীহ্ মুসলিম শরীফ (সকল খণ্ড একত্রে) আপনার ব্যক্তিগত ইসলামিক কিতাব সংগ্রহে থাকার জন্য অনন্য একটি কিতাব।
লেখক সম্পর্কে কিছু কথা
ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) এর পুরো নাম আল-ইমাম আল-হাফেজ হুজ্জাতুল ইসলাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আল-কুশিয়ারী আন-নায়সাবুরী। তিনি ২০২/৮১৭ মতান্তরে ২০৬/৮২১ অথবা ২০৪/৮১৯ সনেখুরাসানের অন্তর্গত নায়সাবুরে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি নির্ভেজাল আরব বংশজাত । তার পরিবারের আদি বাসস্থান নায়সাবুর। শৈশবকাল হতেই তিনি হাদীস শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন । হাদীস শিক্ষার উদ্দেশে তৎকালীন মুসলিম জাহানের সবগুলি কেন্দ্রেই গমন করেন । বিশেষতঃ ইরাক, হিজায, মিশর প্রভৃতি অঞ্চল ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করে তথায় অবস্থানকারী হাদীসের শ্রেষ্ঠ উস্তাদ ও মুহাদ্দিসের নিকট হতে হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহ করেন । তিনি এ সকল স্থানের ইমাম বুখারীর (মৃত্যুঃ ২৫৬ হিঃ)
অনেক উস্তাদ এবং অন্যদের নিকট থেকেও হাদিস শ্রবণ ও গ্রহণ করেন ।ইমাম মুসলিম সর্বপ্রথম ২১৮/৮১৩ সনে হাদিসের দারসে বসতে শুরু করেন । ইয়াহইয়া আত-তামীমী আন-নায়সাবুরী, আল-কা’নাবী, আহমাদ ইবনে ইউনুস, ইসমা’ঈল ইবনে আবী উইয়াস, সা’ঈদ ইবনে মানসূর, আউন ইবনে সাল্লাম, আহমাদ ইবনে হাম্বল – এ সকল প্রখ্যাত হাদিসবিদ ছাড়া আরও অনেকের নিকট তিনি হাদিসের পাঠ গ্রহণ করতেন । তাছাড়া ইমাম শাফি’ঈ-এর শাগরিদ হারমালা এবং প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইসহাক ইবনে রাহুইয়াহ-র নিকট থেকেও তিনি হাদিস শোনেন । তিনি একাধিকবার বাগদাদ সফর করেন । তাঁর সর্বশেষ বাগদাদ সফর ছিল হিজরী ২৫৯ সনে । বাগদাদের হাদিসবিদরা তাঁর নিকট থেকে শ্রুত হাদিস বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী নায়সাবুরে আসলে ইমাম মুসলিম তাঁকে উস্তাদ হিসেবে বরণ করে নেন । তাঁর হাদিস বিষয়ক বিশাল জ্ঞানভান্ডার হতে মুসলিম যথেষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করেন ।
মুসলিম ছিলেন ‘উলূমে হাদিসের এক বিশাল সাগর’ । বিশ্বের সকল হাদিস বিশারদ তাকে এ বিষয়ের একজন শ্রেষ্ঠ ইমাম বলে ঐকমত্য পোষণ করেছেন । তার যুগের বড় বড় মুহাদ্দিসগণ তার নিকট হাদিস শিক্ষা করেছেন । তার প্রখ্যাত শাগরিদদের মধ্যে ইবরাহীম ইবনে আবী তালিব, ইবন খুযাইমা, সাররাজ, আবু আওয়ানা, আবু হামেদ ইবনে শারকী, আবু হামেদ আহমাদ ইবনে হামাদান, ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ, মাককী ইবনে আবাদান, আব্দুর রাহমান ইবনে আবি হাতেম, মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ, ইমাম তিরমিযী, মুসা ইবনে হারুন, আহমেদ ইবনে সালমা, ইয়াহইয়া ইবনে সায়েদ প্রমুখের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তারা সকলে হাদিস শাস্ত্রে মুসলিমের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে তার সূত্রে হাদিস বর্ণনা করেছেন । অবশ্য ইমাম তিরমিযী মুসলিমের সূত্রের মাত্র একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম ২৬১/৮৭৫ সনের ২৫শে রজব রোববার নায়সাবূরে মৃত্যুবরণ করেন । নায়সাবূরের শহরতলী নাসরাবাদে ২৬শে রজব সোমবার তাকে দাফন করা হয় । তার জন্মের সন সম্পর্কে মতভেদ থাকায় মৃত্যুকালে তার সঠিক বয়স সম্পর্কেও মতপার্থক্য দেখা যায় । ইবনে হাজার মুসলিমের মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে একটি বিবরণ প্রদান করেছেন । মুসলিমের জন্য হাদিস বিষয়ক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । সেই মজলিসেএকটি হাদিস আলোচিত হয় । হাদিসটি মুসলিমের জানা ছিল না । মজলিস শেষে বাড়ি ফিরে রাতে এক ঝুরি খুরমা সামনে নিয়ে হাদিসটি তালাশ করতে বসেন । একটি একটি করে খুরমা মুখে দিচ্ছেন আর হাদিসটি অনুসন্ধান করছেন । এভাবে সকাল হয়ে যায়, খুরমাও শেষ হয় এবং হাদিসটিও তিনি পেয়ে যান । এই অতিরিক্ত খুরমা ভক্ষণই তার মৃত্যুর বাহ্যিক কারণ। তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
Brand: বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স