পরিকল্পনা
প্রফেসর ড. আব্দুল ফাত্তাহ আল-ওয়াইসি
অনুবাদ : হাসান আল ফিরদাউস
মিফতাহুর রহমান
তাহছীনুর রহমান
ওয়ারদাতুল আকমাম
পৃষ্ঠা : ৪৭২৳
আইএসবিএন : 978-984-97142-0-8
লেখকের পরিচয়
প্রফেসর ড. আব্দুল ফাত্তাহ আল-ওয়াইসি ১৯৫৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ এর নাকবার সময় তাঁর পরিবার বায়তুল মাকদিস থেকে হিজরত করতে বাধ্য হয়। হিজরত কালে তার তিনজন ভাই-বোন ইন্তেকাল করেন। যায়নবাদী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে কারামেহের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন আরেক ভাই। ছয় ভাইবোনের মাঝে বর্তমানে একমাত্র তিনিই জীবিত রয়েছেন। বসবাস করছেন লন্ডনে।
শিক্ষাজীবনে PhD অর্জন করেন লন্ডনের exeter university থেকে ১৯৮৬ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে অধ্যাপনা করছেন প্রায় পঁয়ত্রি বছর যাবৎ। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের royal historical society-র ফেলো হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার utara university-র ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তুরস্কের ankara university-তে। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক শিক্ষকতা জীবন থেকে অব্যাহতি নেন।
বায়তুল মাকদিস মুক্তির জ্ঞানতাত্ত্বিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠাতা করেন গ্লোবাল সিভিলাইজেশন নলেজ প্রজেক্ট ফর বায়তুল মাকদিস। একাডেমিক জগতে এর বিশেষায়িত শাখাও প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৯৪ সালে বায়তুল মাকদিস স্টাডিজ নামে। বায়তুল মাকদিস কেন্দ্রিক জ্ঞানতাত্ত্বিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তার নামের পাশে উপাধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে ‘আল-মাকদিসি’।
বই সম্পর্কে তথ্য
বায়তুল মাকদিসের ইতিহাস জানার জন্য গতানুগতিক ধারার কোনো গ্রন্থ এটি নয়। বরং, বিগত একশত বছর এই ভূমিকে ঘিরে যা ঘটেছে এবং বর্তমান সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটছে--সবই স্পষ্ট করা, বুঝতে পারা, উপলব্ধি করা এবং বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এ গ্রন্থটিতে। আর এসবের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতের ঘটনাগুলোকে মুসলিম উম্মাহ এবং বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত করা। সেই পরিচালনা করার প্রক্রিয়া এবং রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে এতে।
আগামীতে একটি আমূল পরিবর্তন সাধন, বায়তুল মাকদিস ও মসজিদুল আকসার মুক্তি এবং ইসলামী সভ্যতার পুনর্জাগরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হচ্ছে এর জ্ঞান তাত্ত্বিক ভিত্তি নির্মাণ করা। ভবিষ্যৎ ইতিহাস বিনির্মাণের একমাত্র পন্থাও এটি। আর এক্ষেত্রে লেখকের দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ জ্ঞানের সারনির্যাস বক্ষমান গ্রন্থখানি।