অনুবাদ : বুরহান উদ্দিন
পৃষ্ঠা : ৩২০
লেখকের পরিচয়
প্রফেসর ড. ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা।
তিনি তুরস্কের একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ। প্রথিতযশা এই ইতিহাসবিদ একইসাথে একজন লেখক, অনুবাদক, ধর্মতত্ত্ববিদ এবং ইতিহাসবেত্তা। বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত তাঁর শতাধিক বই ও প্রবন্ধ বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আরবী, ফার্সি, তুর্কী, উসমানি, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষার একজন দক্ষ ইতিহাস গবেষক।
ড. ইহসান সুরাইয়্যা সিরমার জন্ম ১৯৪৪ সালে। অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন তুরস্কের আনকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে থিওলোজি ডিপার্টমেন্ট থেকে এবং ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন ফ্রান্সের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
বই সম্পর্কে তথ্য
১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের পর উসমানী খেলাফতের সমসাময়িক রুশ, জার্মান, এবং অস্ট্রিয়-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। এসব সাম্রাজ্যগুলোতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং সাম্রাজ্যগুলো ভেতর থেকে দুর্বল হতে শুরু করে। জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব শুরু হয়। এদের শাসন, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহে কোটি কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু উসমানী খেলাফত ছিলো এর সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। উসমানী খেলাফতের সবচেয়ে বড় সফলতা ছিলো দীর্ঘ সময় ধরে সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি ও শৃঙ্খলা ধরে রাখা। আর এটা সম্ভব হয়েছিলো নিজেদের মধ্যকার শৃঙ্খলাকে ধরে রাখার কারণে। এর পেছনে মূল কারণ কি ছিলো?
ঐতিহাসিকদের মতে এর পেছনে মূল কারণ ছিলো, এই খেলাফত আন্দালুসিয়ার আকল, হিকমত ও ফিলোসফির সাথে মাওয়ারাউন-নাহারের ফিকহ, আকল ও তাসাউফকে একত্রিত করে ইসলামের সামগ্রিক একটি রুপকে নিজেদের মধ্যে রূপায়িত করতে সক্ষম হয়েছিলো।
সেই আদালতপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা কেমন ছিলো, তাই সবিস্তারে আলোচনা করেছেন লেখক প্রফেসর ড. ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা।
Brand: মক্তব প্রকাশন