By (author)
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
মসজিদ গলিতে পাগলের আনাগোনা এখনো আছে। তাদের তাড়ানোর সেই শিশুগুলো আজ আর নেই। পাড়ার ছেলেমেয়েরা দিব্যি নিজের বুঝ বুঝতে শিখেছে। এখন নিয়মিতই স্কুলে যায় তারা। কিন্তু যার অনুপ্রেরণায় এই পরিবর্তন- তিনি আজ নেই। হারিয়ে গেছেন কালের অতলে। রোদে খাঁ খাঁ দুপুরে ক্লান্ত শরীরে আজও ঘরে ফেরেন গাঁয়ের কাকাবাবু। রান্নাঘরে কাকিমার রৌদ্রস্নানের দৃশ্য এখনো নজর কাড়ে। কিন্তু কাকাবাবুর সেই তাড়াহুড়ার বারতা নেই- ‘ওগো! খুব খিদে পেয়েছে; চারটে জুটবে কি কপালে?’ নেই বাড়ির সেই বুড়ো মানুষটি; কড়া নিয়মানুবর্তিতায় চলত যাঁর নিত্যদিন। কোথায় যে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন- কে জানে! তবু এসব যে হাতড়ে বেড়াই বেলা-অবেলায়। মনে পড়ে আরো কত্তোসব কথা। হৃদয়ের অলিন্দে হুহু করে যেন স্মৃতিরা কেঁদে ওঠে সহসা। না চাইতেই ধরা দেয় সব অধরা হওয়া অতীত। ছেলেবেলার সেই বন্ধুরা আজ কে কোথায়! জলসাভাঙা ঘরে কি কেবল আমিই খুঁজে ফিরি ওদের, নাকি ওরাও আমার মতো ভাবে আমায় কিংবা অন্যদের? মুফিজুলের দোকানের বেঞ্চিতে সেই মুরব্বিগোছের লোকেরা কি আজও চায়ের কাপে চুমুক দেন? এখনো কি তাঁরা আমাদের সেই দুরন্ত বালকদের তাড়িয়ে বেড়ান? বেপরোয়া এই আমরা কি আজও তাদের অপছন্দের সব দুরন্তপনায় মাতিয়ে তুলি! এসব কেমন যেন ছবির মতো কল্পনায় ভাসে। যেন সেই রৌদ্রপল্লীতে আজও বেশ কোলাহল।
Brand: ইসলামিয়া কুতুবখানা