By (author)
আল্লামা জালাল উদ্দীন সুয়ূতী ও জালাল উদ্দীন মহল্লী (র.)
কিতাব সম্পর্কে
তাফসীরে জালালাইন আল্লামা জালালুদ্দীন মহল্লী (৭৯১-৮৬৪) এর অর্ধেকাংশ লিখেছেন এবং তার ছাত্র আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী (৮৪৯-৯১১) যিনি একজন বিশ্ব নন্দিত মুফাস্সির ও হাদীস বিশারদ, তিনি আল্লামা মহল্লীর পরে বাকী অর্ধেকংশ লিখে এটি সম্পন্ন করেছেন। তাফসীরে জালালাইন পুরো ইসলামি বিশ্বে সমাদৃত, গ্রহণযোগ্য, সফল ও স্বার্থক একটি তাফসীর গ্রন্থ। যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য কুরআনের অর্থ অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যদিও এটি অন্যান্য তাফসীরের তুলনায় সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাফসীরের সারনির্যাস আয়ত্ত করার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। এটি সারা বিশ্বের অধিকাংশ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খুব গুরুত্বের সাথে পাঠ দান করা হয়।
লেখক সম্পর্কে
আল্লামা জালালুদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে আহমদ আল মহল্লী (র.) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, তিনি কুরআন, হাদীস,ফিকহ,ধর্মতত্ত্ব, ও আরবি ভাষার পণ্ডিত ছিলেন, তিনি ছিলেন সরলতা, আল্লাহকে ভয় ও সত্যকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে একেবারে নির্ভীক। তাকে সর্বোচ্চ বিচারকের পদে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি । তিনি বারকুকিয়্যাহ ও মুআইদিয়াহ মাদরাসায় ইলমে ফিকহ শিক্ষা দিতেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সূরা কাহাফ থেকে শুরু করে সূরা নাস পর্যন্ত লিখেছেন। অত পর সূরা ফাতেহার তাফসীর লিখে ইন্তেকাল করেন। তারপর তার ছাত্র আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী (র.) বাকী অর্ধেকের তাফসীর লিখে গ্রন্থটিকে সম্পন্ন করেন, জালালুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বকর আস সুয়ূতী (র.) দশম ইসলামিক শতাব্দীর মুজতাহিদ ও ইমাম ছিলেন। তিনি তাফসীর, হাদীস, ফিকহ, ইলমে নাহু, ইলমে মাআনী, ইলমে বয়ান, ইলমে বদীর পণ্ডিত ছিলেন। তিনি ইতিহাসবিদ ও জীবনী লেখক ছিলেন। তার রচনা ও গ্রন্থগুলো আজও রক্ষিত রয়েছে। তাঁর বেশ কয়েকটি লেখায় বৈজ্ঞানিক বিষয় বা অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং খাদ্য ও জীবনযাপন সম্পর্কিত বিষয় সন্নিবেশিত হয়েছে। মিশরের সর্বকালের খ্যাতিমান ও প্রসিদ্ধ মুসলিম পণ্ডিতদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি ৩০০টির বেশি বই লিখেছিলেন, ইসলামি বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয়কে কাভার করেছিলেন। তিনি আট বছর বয়সে কুরআন মুখস্থ করেছিলেন এবং তার পরে দেড় শতাধিক আলেমের কাছে পড়াশোনা করেন। তিনি দামেস্ক, হিজায, ইয়েমেন, ভারত, মরক্কো এবং মরক্কোর দক্ষিণে এবং মিশরেও জ্ঞানের সন্ধানে ব্যাপক ভ্রমণ করেছিলেন। আল্লামা সুয়ুতী তাঁর জীবন দরস-তাদরীস ও লেখালেখীর জন্য উৎসর্গ করেছিলেন । তিনি আভিজাত্য, ত্যাগী এবং স্বনির্ভর ছিলেন। নিজেকে পদমর্যাদার ও ক্ষমতার লোকদের থেকে দূরে রাখতেন এবং শিক্ষকতার মাধ্যমে যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে জীবনযাপন করতেন। আর প্রধান গ্রন্থগুলোর মাধ্যে অন্যতম হলো আল ইতকান ফী উলূমিল কুরআন, যা দ্বারা আজও সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে এবং তাফসীরে জালালাইন যা ইসলামি বিশ্বে সকল শ্রেণীর ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ দান করা হয়।
Brand: ইসলামিয়া কুতুবখানা