By (author)
শায়খুল আদব হযরত মাওলানা এজাজ আলী (র.)
বই সম্পর্কে
“নাফহাতুল আরব” আরবি ভাষা ও সাহিত্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের জন্য রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। অষ্টাদশ শতাব্দীর আরবি ভাষাবিদ, হযরত মাওলানা মুহাম্মদ ইজাজ আলী (র.) এ গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি তা‘লীকাত লিখেছেন লেখক নিজেই। এটি এমন একটি গ্রন্থ যা ‘আরবি সাহিত্যের যথোপযোগী হওয়ার সাথে সাথে ইসলামি তাহযীব তামাদ্দুনে ভরপুর। লেখক পঙিতগুলি এমন ভাবে সাজিয়েছেন যাতে শিক্ষার্থীদের আদব এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষার নিশ্চিত করা যায়, যা তাদেরকে উম্মতের সালাফের সাথে সংযুক্ত করে দিবে। লেখক গল্পগুলোতে থাকা কঠিন শব্দগুলোর ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি গল্পগুলোতে উল্লিখিত প্রতিটি জীবনী সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করেছেন। তাইতো শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানী (র.) যথার্থই বলেছেন এ কিতাবটি আরবি সাহিত্যের একটি সর্বোত্তম রচনা এবং যুগের সর্বোত্তম নির্বাচন।
বৈশিষ্ট্যাবলি
কম্পিউটার কম্পোজ, তিন কালার ও উন্নতমানের আকর্ষণীয় কাগজে মুদ্রিত
কিতাবের শুরুতে নফহাতুল আরব ও ইলমে আদব সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ (مقدمة) ভূমিকা সংযুক্তকরণ
গ্রন্থকারের জীবনী সংযোজন।
দুর্বোধ্য ও সংশয়পূর্ণ শব্দাবলিতে প্রয়োজনীয় হরকত প্রদান
বহুল প্রচলিত হিন্দুস্তানি ও পাকিস্তানী নুসখার অনুসরণ
হিন্দুস্তানী ও পাকিস্তানী নুসখাগুলোর শব্দগত ও অর্থগত ভুল সংশোধন
হাশিয়ায় অবস্থিত ভুল-ত্রুটি উৎসগ্রন্থের সাথে মিলিয়ে সংশোধন
(الباب الثاني في النظم) তথা পদ্যাংশ সংযুক্তকরণ
পদ্যাংশের প্রতিটি ক্বাসীদার শুরুতে শে‘রের ওজন (بحر) সংযুক্তকরণ
যতিচিহ্ন ও আধুনিক আরবি বানানরীতির আলোকে বিশুদ্ধ ইমলার (লেখ্যরীতি) প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ
দক্ষ ও অভিজ্ঞ সম্পাদক দ্বারা পূর্ণ কিতাব সম্পাদিত
কিতাবের মধ্যে বিদ্যমান বাবগুলোকে ক্যালিওগ্রাফি করে লেখা
কুরআনের আয়াতসমূহ হরকতযুক্তরূপে রঙ্গীনভাবে ছাপা
হাশিয়া সহজে খুঁজে বের করার জন্য ক্রমিক নং সহ উল্লেখ
সহজ পাঠের উদ্দেশ্যে بَيْن السَّطْر গুলো সংশ্লিষ্ট শব্দের নিচে স্থাপন
লেখক সম্পর্কে
তিনি হলেন এ‘জাজুল উলামা মুহাম্মদ ইযায ‘আলী বিন মুহাম্মদ মিজাজ’ আলী বিন হাসান আলী বিন খায়রুল্লাহ আল-আমরুহহী। তিনি ১৩০০ হিজরিতে বাদায়ুনে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি শায়খ কুতুবুদ-দীনের কাছে কুরআন কারীম অধ্যয়ন করেন এবং শরফুদ্দীন খানের কাছে কুরআন কারীম মুখস্থ করেন। তিনি তার বাবার কাছে ফারসি ও উর্দু ভাষার প্রাথমিক বইগুলো অধ্যয়ন করেন। অতঃপর তিনি জ্ঞান অন্বেষণের জন্য বিভিন্ন স্থানে যুগশ্রেষ্ঠ উলামায়ে কেরামের কাছে ভ্রমণ করেন। আর অবশেষে তিনি হযরত মাওলানা বশীর সাহেব ও মুফতি কেফায়েতুল্লাহ (র.)-এর পরামর্শক্রমে দেওবন্দে আসেন এবং তিনি দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহতামিম হযরত মাওলানা হাফেজ আহমদের কাছে ‘হিদায়া’ এবং শায়খ মুহাম্মদ সাহুলের কাছে ‘মানতিক’ অধ্যয়ন করেন। অতঃপর তিনি সফরে যান এবং আবদুল মুমিন দেওবন্দীর কাছে আকায়েদ, মানকূলাত, ফালসাফা (দর্শন) শাস্ত্রের কিতাবাদি এবং বুখারী শরীফ ছাড়া সিহাহ সিত্তার অন্যান্য গ্রন্থগুলো অধ্যয়ন করেন। আর উস্তাদ মুহাম্মদ আশিক এলাহির কাছে اصولএবং عروض অধ্যয়ন করেন। অতঃপর তিনি দেওবন্দে ফিরে গিয়ে শায়খ মাহমূদ হাসান দেওবন্দী (র.)-এর নিকট সহীহ বুখারী, জামে তিরমিযী, সুনানে আবূ দাঊদ, হেদায়া আখেরাইন, তাফসীর, উসুলুত তাফসীর অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৩৭৪ হিজরির ১৩ই রজব মৃত্যুবরণ করেন।
Brand: ইসলামিয়া কুতুবখানা