By (author)
আবুল হাসান মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশায়রী নিশাপুরী (র.)
বই সম্পর্কে
ইমাম আবুল হাসান মুসলিম (র.)-এর গ্রন্ধাবদ্ধ সহীহ মুসলিম শরীফের হাদীস গুলো উল্লেখ করার পাশাপাশি ইমাম নববী (র.)-এর সংযোজিত শিরোনাম গুলোও এখানে সংযোজন করা হয়েছে। তাছাড়া সকল মাযহাবের আলেমগণের নিকট সুপ্রসিদ্ধ মুসলিম শরীফের সেরা ভাষ্য ইমাম নববীর ব্যাখ্যা সম্বলিত এ গ্রন্থ খানা। এটি একটি নতুন ভাবে পরীক্ষিত ও যাচাইকৃত সংস্করণ। এছাড়াও এতে হাশিয়ায়ে সিন্ধি, ফাতহুল মুলহিম, তাকমিলা ও ই‘লাউস সুনান ইত্যাদি থেকে তা‘লীকাতও যুক্ত করা হয়েছে। ঝকঝকে ছাড়া উন্নত মানের বাধাই ও চিত্তাকর্ষক কভার কিতাবখানার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
বৈশিষ্ট্যাবলি
কম্পিউটার কম্পোজ, তিন কালার ও উন্নতমানের আকর্ষণীয় কাগজে মুদ্রিত।
হরকতবিহীন, যা দরসে বসার উপযোগী।
দুর্বোধ্য ও সংশয়পূর্ণ শব্দাবলিতে প্রয়োজনীয় হরকত প্রদান।
বহুল প্রচলিত হিন্দুস্তানি নুসখার অনুসরণ।
শব্দগত ও অর্থগত ভুল সংশোধন।
যতিচিহ্ন ও আধুনিক আরবি বানানরীতির আলোকে বিশুদ্ধ ইমলার (লেখ্যরীতি) প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ।
ধারাবাহিকভাবে হাদীস নম্বর, কিতাব (অধ্যায়)-নম্বর এবং পর্বভিত্তিক বাব (পরিচ্ছেদ)-নম্বর প্রদান।
প্রতিটি হাদীসের ধারাবাহিক হাদীস-নম্বরগুলো রঙ্গিনকরণ।
যোগ্যতাসম্পন্ন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ মুহাদ্দিসীনে কেরাম দ্বারা সম্পাদিত।
কিতাব/অধ্যায়গুলোকে ক্যালিওগ্রাফি করে লেখা।
কুরআনের আয়াতসমূহ হরকতযুক্তরূপে রঙ্গীনকরণ।
হাশিয়ার নামগুলো ক্যালিওগ্রাফি করে লেখা।
অনায়াসে খুঁজে বের করার জন্য হাশিয়াগুলো পৃথক পৃথক অনুচ্ছেদে ক্রমিক নং সহ উল্লেখ ।
ضمير -এর مرجع সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রতিটি ضمير ও তার مرجع -এর নিচে একটি নম্বর প্রদান।
হাশিয়ায় অবস্থিত ভুল-ত্রুটি মূল উৎসগ্রন্থের সাথে মিলিয়ে সংশোধন।
হাশিয়ার শেষে যে সকল উৎসগ্রন্থের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পুরো নাম উল্লেখ করে তা সুস্পষ্টকরণ।
কিতাবের শুরুতে উৎকৃষ্টমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ (مقدمة) ভূমিকা সংযুক্তকরণ।
কিতাবের শেষে হাদীস ও পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখপূর্বক (معجم غريب الحديث) কঠিন ও জটিল শব্দাবলির ব্যাখ্যা সংযোজন।
লেখক সম্পর্কে
তিনি হলেন আসাকিরুদ্দিন আবুল হাসান মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ ইবনে ওয়ারদ ইবনে কুশায আল কুশাইরী। জন্ম ও বাসস্থানের কারণে তাঁর স্বভাব চরিতে অনারবীয় ঘ্রাণ লাগলেও মূলত তিনি আরবের প্রসিদ্ধ গোত্র ‘কুশাইর’-এর সাথে সম্পৃক্ত। আর এ কারণেই তাকে কুশাইরী বলা হয়। তাঁর জন্ম ২০২/২০৬ হিজরীতে। আর তিনি ২৬১ হিজরিতে ৫৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি হাদীস সংগ্রহে আত্মনিয়োগ করেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামায়ে আসলাফের মতে তাঁর রচিত মুসলিশ শরীফ বিশুদ্ধতার বিচারে সহীহ বুখারীর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যদিও কতিপয় বিদগ্ধ আলেমের মতে সংঘঠন ও পুনরাবৃত্তির দিক থেকে এটি বুখারীর চেয়ে উত্তম বলে বিবেচিত হয়। তবে এটি সিহাহ সিত্তার মধ্যে দ্বিতয়ি স্থানে অবস্থান করছে। ইমাম মুসলিম (র.) তাঁর বর্ণিত হাদীস গুলো ৪-৫ বর্ণনা কারীর মাধ্যমে স্বয়ং রাসূল @ থেকেই বর্ণনা করেছেন। যদিও এতে তিনজন বর্ণনা কারীর মাধ্যমে বর্ণিত কতিপয় হাদীসও রয়েছে। ইমাম মুসলিম (র.) ইমাম বুখারী (র.) ও তাঁর কতিপয় শায়েখের একান্ত স্নেহভাজন শাগরেদ ছিলেন। কিন্তু তিনি ইমাম বুখারী (র.) সূত্রে খুব বেশি হাদীস বর্ণনা করেননি।
Brand: ইসলামিয়া কুতুবখানা